এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে আপনাকে স্বাগতম
বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ২০২৫ উদযাপন করল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম

বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ২০২৫ উদযাপন
করল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম
[চট্টগ্রাম, ২৮ জুলাই, ২০২৫]- বন্দরনগরীর
সর্ববৃহৎ হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম একটি সচেতনতামূলক আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব
হেপাটাইটিস দিবস ২০২৫ পালন করেছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নেতৃত্বে আয়োজিত এ
অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল হেপাটাইটিস রোগ প্রতিরোধে আগাম সনাক্তকরণ, টিকাদান এবং
সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে লিভারের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। এ আয়োজনের মাধ্যমে
লিভার স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা, সময়মতো রোগ নির্ণয় এবং দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণের
প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
অনুষ্ঠানে এভারকেয়ার হসপিটাল
চট্টগ্রামের সিওও মি. সামির সিং সহ
আরও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও হেপাটোলজির খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হয়ে
হেপাটাইটিস মোকাবেলায় সক্রিয় স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সম্মিলিত
অভিজ্ঞতার আলোকে সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা.
সন্দীপ ধাবন, কনসালট্যান্ট ডা.
মুশফিকুল আবরার এবং অ্যাটেন্ডিং কনসালট্যান্ট ডা. এস. এম. সোহেল রানা হেপাটাইটিসসহ বিভিন্ন লিভার রোগ প্রতিরোধ ও
ব্যবস্থাপনায় প্রাথমিক স্ক্রিনিং, টিকাদান, চিকিৎসা ক্ষেত্রে আধুনিক অগ্রগতি এবং
প্রয়োজনীয় জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর চিফ অপারেটিং অফিসার সামির সিং বলেন, “হেপাটাইটিসের মতো রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি করাই প্রথম
ধাপ। এভারকেয়ার শুধুমাত্র চিকিৎসা প্রদানে নয়, বরং কমিউনিটিকে স্বাস্থ্য বিষয়ে সঠিক
সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতেও বদ্ধপরিকর।”
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও হেপাটোলজি
বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সন্দীপ ধাওয়ান
বলেন, “হেপাটাইটিসকে নীরব ঘাতক বলা হয়, কারণ এটি অনেক সময় কোনো সুস্পষ্ট উপসর্গ ছাড়াই
বছর বছর ধরে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করতে থাকে। আমাদের এই নীরবতা ভাঙতে হবে সচেতনতা,
স্ক্রিনিং ও সময়মতো চিকিৎসার মাধ্যমে। এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে আমরা শুধু লিভারের
রোগ চিকিৎসায় নয়, জনসাধারণকে সচেতন করার মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা
রাখার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছি।”
বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালন এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের
একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যার মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা
বাড়ানো এবং বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।