স্তন ক্যান্সার হল নারীদের মধ্যে অন্যতম সাধারণ ক্যান্সার, যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে নিরাময়যোগ্য হতে পারে।
কারণ:
- জিনগত প্রভাব: পরিবারের কারও স্তন ক্যান্সার থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- হরমোনের পরিবর্তন: কিছু হরমোনের ভারসাম্যহীনতা স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ায়।
- অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের অভাব ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- অ্যালকোহল ও ধূমপান: এগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে সহায়ক।
- রেডিয়েশন: অতিরিক্ত রেডিয়েশনের সংস্পর্শে আসা ক্ষতিকর হতে পারে।
সতর্কতা ও প্রতিকার:
- নিয়মিত স্ব-পরীক্ষা: মাসে একবার নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করা উচিত।
- নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ: বছরে একবার ম্যামোগ্রাফি করানো উচিত। তবে ৪০ বছর বয়সের নিচে ম্যামোগ্রাফি করানো উচিৎ নয়।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খেতে হবে।
- ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করা দরকার।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়ানো: এটি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারলে চিকিৎসার সাফল্যের হার অনেক বেশি। তাই, নারীদের উচিত সচেতন থাকা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
লেখকঃ
সিনিয়র কনসালটেন্ট