হঠাৎ করেই যখন কোনো অসুস্থতা বা আঘাতের কারণে জীবন বা মৃত্যুর সীমানায় পৌঁছে যাই, তখন আমাদের শেষ আশা হয়ে ওঠে ইমার্জেন্সি কক্ষ। এই কক্ষটি হাসপাতালের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে দক্ষ চিকিৎসক ও নার্সরা দিনরাত কাজ করে চলেছেন জীবন বাঁচানোর জন্য।
ইমার্জেন্সি কক্ষে কী ঘটে?
যখন কোনো রোগীকে ইমার্জেন্সি কক্ষে নিয়ে আসা হয়, তখন চিকিৎসকরা সর্বপ্রথম রোগীর অবস্থার তীব্রতা মূল্যায়ন করেন। তারপর দ্রুত কাজ শুরু হয়।
- প্রাথমিক মূল্যায়ন: রোগীর শ্বাস, রক্তচাপ, হৃদ্স্পন্দন, চেতনা ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।
- জরুরি চিকিৎসা: যদি রোগীর জীবন বিপন্ন হয়, তাহলে তাকে প্রথমে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে রক্তচাপ বৃদ্ধি করা, শ্বাসকষ্ট দূর করা, রক্তপাত বন্ধ করা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
- পরীক্ষা-নিরীক্ষা: রোগীর অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
- বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হয়।
- চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ: পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে রোগীর জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়। এরপর রোগীকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
ইমার্জেন্সি কক্ষে কাজ করা চিকিৎসক ও নার্সদের ভূমিকা
ইমার্জেন্সি কক্ষে কাজ করা চিকিৎসক ও নার্সরা অত্যন্ত দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হয়ে থাকেন। তারা হঠাৎ করে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম। তারা রোগীর জীবন বাঁচানোর জন্য দিনরাত কাজ করে চলেছেন।
ইমার্জেন্সি কক্ষে কেন যাবেন?
- হঠাৎ বুকে ব্যথা
- শ্বাসকষ্ট
- মাথা ঘোরা
- তীব্র পেট ব্যথা
- রক্তপাত
- চেতনা হারানো
- দুর্ঘটনায় আহত হওয়া
উপরোক্ত যে কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে ইমার্জেন্সি কক্ষে যান।
ইমার্জেন্সি কক্ষে যাওয়ার আগে
- আপনার সাথে আপনার ওষুধের তালিকা রাখুন।
- আপনার রক্তের গ্রুপ জানা থাকলে তা জানান।
- আপনার সাথে আপনার পরিচয়পত্র রাখুন।
ইমার্জেন্সি কক্ষে যাওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- দ্রুত চিকিৎসা পাওয়া যায়।
- জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়।
- জটিলতা এড়ানো যায়।
সর্বশেষ কথা
ইমার্জেন্সি কক্ষ হল জীবন বাঁচানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তাই, যদি আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে দেরি না করে ইমার্জেন্সি কক্ষে যান।
আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন এবং নিরাপদ থাকুন।