ক্যান্সার সম্পর্কে মিথ ও সত্য: সঠিক তথ্য জানুন, সুস্থ থাকুন

ক্যান্সার, এমন একটি শব্দ যা শুনলেই আমাদের মনে আতঙ্ক জাগে। এই আতঙ্কের কারণ অনেক সময় ভুল তথ্য বা মিথ। আজ আমরা ক্যান্সার সম্পর্কে কিছু প্রচলিত মিথ এবং তাদের পেছনে সত্য কী তা জানব।

মিথ ১: ক্যান্সার ছোঁয়াচে রোগ

  • মিথ: অনেকে ভাবেন ক্যান্সার রোগীকে স্পর্শ করলে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  • সত্য: ক্যান্সার একটি ছোঁয়াচে রোগ নয়। এটি কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে হয়। রোগীর সাথে শারীরিক সংস্পর্শে এসে ক্যান্সার হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

মিথ ২: ক্যান্সার মানে মৃত্যু

  • মিথ: অনেকে মনে করেন ক্যান্সার হলে মৃত্যু অনিবার্য।
  • সত্য: আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে অনেক ধরনের ক্যান্সার সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা হলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

মিথ ৩: মোবাইল ফোন ব্যবহার ক্যান্সারের কারণ

  • মিথ: অনেকে মনে করেন মোবাইল ফোন ব্যবহার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • সত্য: এখন পর্যন্ত কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণায় মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং ক্যান্সারের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।

মিথ ৪: চিনি ক্যান্সারকে বাড়ায়

  • মিথ: অনেকে মনে করেন চিনি ক্যান্সার কোষকে বৃদ্ধি করে।
  • সত্য: চিনি সরাসরি ক্যান্সারের কারণ না হলেও, অতিরিক্ত চিনি খাওয়া মাত্রাতিরিক্ত ওজনের কারণ হতে পারে, যা কিছু ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

মিথ ৫: ক্যান্সার একটি আধুনিক রোগ

  • মিথ: অনেকে মনে করেন ক্যান্সার একটি আধুনিক রোগ।
  • সত্য: ক্যান্সার একটি প্রাচীন রোগ। প্রাচীন মমিদের দেহেও ক্যান্সারের লক্ষণ পাওয়া গেছে।

মিথ ৬: ক্যান্সার একটি মানসিক রোগ

  • মিথ: কখনো কখনো মানুষ ভাবে যে ক্যান্সার একটি মানসিক রোগ।
  • সত্য: ক্যান্সার একটি শারীরিক রোগ। যদিও মানসিক চাপ ক্যান্সারের চিকিৎসায় বাধা দিতে পারে।

ক্যান্সারের সত্যিকার কারণ কিছু

  • ধূমপান: ফুসফুস, মুখ, গলা এবং অন্যান্য অঙ্গের ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
  • মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান যকৃতের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত, লবণাক্ত খাবার এবং কম ফল ও শাকসবজি খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • শারীরিক অক্রিয়তা: নিয়মিত ব্যায়াম না করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
  • মাত্রাতিরিক্ত ওজন: মাত্রাতির্ত ওজন স্তন, কোলন এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • পরিবেশগত কারণ: বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, বিকিরণ ইত্যাদি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • বংশগত কারণ: কখনো কখনো ক্যান্সার পরিবারে চলে আসে।

সঠিক তথ্য জানুন:

ক্যান্সার সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা খুবই জরুরি। ভুল তথ্যের কারণে অনেকেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা হলে চিকিৎসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে থাকুন।