ক্যান্সার সর্বাধিক প্রভাবিত করে কাদের? এভারকেয়ারের গবেষণা

ক্যান্সার, একটি রোগ যা আজকের সমাজে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই ক্যান্সার রোগী থাকার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু কারা সবচেয়ে বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়? এভারকেয়ারের গবেষণা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে।

ক্যান্সার সর্বাধিক প্রভাবিত করে কাদের?

ক্যান্সারের ঝুঁকি বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হয়। যেমন:

  • বয়স: সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিরা ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হন।
  • লিঙ্গ: কিছু ধরনের ক্যান্সার মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, যেমন স্তন ক্যান্সার। আবার অন্য কিছু ধরনের ক্যান্সার পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, যেমন ফুসফুস ক্যান্সার।
  • পরিবারের ইতিহাস: যদি পরিবারে কারো ক্যান্সার হয়, তাহলে অন্য সদস্যদেরও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • জীবনযাত্রা: ধূমপান, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক অক্রিয়তা, সূর্যের অতিরিক্ত তাপ এবং কিছু রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসা—এসব কারণ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • পরিবেশ: বায়ু দূষণ, পানির দূষণ এবং কিছু ধরনের ভাইরাসও ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

এভারকেয়ারের গবেষণা কী বলছে?

এভারকেয়ারের গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়:

  • ফুসফুস ক্যান্সার: ধূমপান এই ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
  • স্তন ক্যান্সার: মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সার।
  • মুখ গলার ক্যান্সার: ধূমপান এবং পানের সঙ্গে তামাক খাওয়া এই ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
  • যকৃতের ক্যান্সার: হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস এই ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
  • রক্ত ক্যান্সার: এই ক্যান্সারের সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

ক্যান্সার প্রতিরোধে কী করা যায়?

ক্যান্সার প্রতিরোধে সুস্থ জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি নিম্নলিখিত কাজগুলো করে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারেন:

  • ধূমপান এবং মদ্যপান পরিহার করুন: ধূমপান এবং মদ্যপান ফুসফুস, মুখ, গলা এবং অন্যান্য অনেক ধরনের ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
  • সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন: ফল, শাকসবজি, পুরোধান এবং পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত।
  • শারীরিক পরিশ্রম করুন: সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মধ্যম তীব্রতার শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত।
  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন বা মোটা হওয়া অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
  • সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে নিজেকে রক্ষা করুন: সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি সূর্যের আলোতে না থাকা, সানস্ক্রিন ব্যবহার করা এবং সুরক্ষিত পোশাক পরা উচিত।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব।

এভারকেয়ার আপনার পাশে

এভারকেয়ার ক্যান্সার সেন্টারে আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিরোধই হল সর্বোত্তম চিকিৎসা। আমাদের বিশেষজ্ঞরা আপনাকে সুস্থ জীবনযাপনের পরামর্শ দিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করবেন।

ক্যান্সার মুক্ত জীবন গড়তে আজই শুরু করুন!