পিআইসিউতে ঔষধ ব্যবহার: শিশুদের জন্য বিশেষ যত্ন

পিআইসিউ বা পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে গুরুতর অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা করা হয়। এই ইউনিটে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এই ঔষধগুলি শিশুদের অসুখ ভালো করতে সাহায্য করে। তবে, সব ঔষধেরই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।

পিআইসিউতে ব্যবহৃত সাধারণ ঔষধ এবং তাদের ব্যবহার

  • অ্যান্টিবায়োটিক: সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
  • পেইনকিলার: ব্যথা কমাতে পেইনকিলার দেওয়া হয়।
  • অ্যান্টি-ভাইরাল: ভাইরাসজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-ভাইরাল ব্যবহার করা হয়।
  • স্টেরয়েড: শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি এবং অন্যান্য প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে স্টেরয়েড দেওয়া হয়।
  • হৃদরোগের ওষুধ: হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিশেষ ধরনের হৃদরোগের ওষুধ দেওয়া হয়।
  • দ্রবণ: শরীরে পানি ও লবণের ভারসাম্য রক্ষা করতে দ্রবণ দেওয়া হয়।

ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সব ঔষধেরই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি শিশুর শরীরের প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল:

  • অ্যালার্জি: কিছু শিশুর কোনো কোনো ঔষধের প্রতি অ্যালার্জি হতে পারে।
  • উল্টানো: কিছু ঔষধ উল্টানোর কারণ হতে পারে।
  • ডায়রিয়া: কিছু ঔষধ ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।
  • চামড়ায় ফুসকুড়ি: কিছু ঔষধ চামড়ায় ফুসকুড়ির কারণ হতে পারে।
  • ঘুম আসা: কিছু ঔষধ ঘুম আসার কারণ হতে পারে।

ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কীভাবে পরিচালনা করা হয়?

  • ডাক্তারের পরামর্শ: যদি আপনার শিশু কোনো ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
  • ঔষধ বন্ধ করা: ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ বন্ধ করা উচিত নয়।
  • অন্য ঔষধ: ডাক্তার অন্য কোনো ঔষধ দিতে পারেন।

পিআইসিউতে ঔষধ ব্যবহার সম্পর্কে আরও জানতে কী করবেন?

  • ডাক্তারের সাথে কথা বলুন: আপনার শিশুর ডাক্তারের সাথে কথা বলে ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
  • ঔষধের প্যাকেট পড়ুন: ঔষধের প্যাকেটে ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকে।
  • ফার্মাসিস্টের সাথে কথা বলুন: ফার্মাসিস্ট আপনাকে ঔষধ সম্পর্কে আরও তথ্য দিতে পারেন।

শেষ কথা

পিআইসিউতে ঔষধ ব্যবহার শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, সব ঔষধেরই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করলে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য পাওয়া যায়।

মনে রাখবেন, আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।