ফ্যাটি লিভার: চুপচাপ বসে থাকা বিপদ

ফ্যাটি লিভার, বাংলায় যাকে চর্বিযুক্ত যকৃত বলা হয়, এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা আজকাল অনেক মানুষেরই হচ্ছে। এই অবস্থায় যকৃতে অতিরিক্ত চর্বি জমে যায়। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে এর কোন লক্ষণ নাও দেখা দিতে পারে, তবে দীর্ঘদিন ধরে এটি অবহেলা করলে গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

কেন হয় ফ্যাটি লিভার?

ফ্যাটি লিভার মূলত দুই ধরনের হয়:

  • অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের ফলে এই ধরনের ফ্যাটি লিভার হয়।
  • নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার: অ্যালকোহল ছাড়া অন্যান্য কারণে যেমন স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল ইত্যাদির কারণে এই ধরনের ফ্যাটি লিভার হয়।

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ

প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্যাটি লিভারের কোনো লক্ষণ নাও দেখা দিতে পারে। তবে, যখন রোগটি গুরুতর হয়ে পড়ে তখন নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে:

  • ক্লান্তি
  • অরুচি
  • ওজন কমে যাওয়া
  • পেটে ব্যথা
  • জন্ডিস (ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া)
  • পা ফুলে যাওয়া

ফ্যাটি লিভারের প্রতিরোধ

  • সুষম খাদ্য: ফ্যাটি, মিষ্টি ও লবণাক্ত খাবার পরিহার করুন। ফল, শাকসবজি ও পুরো শস্য খাবার খান।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন ফ্যাটি লিভারের একটি প্রধান কারণ। তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
  • ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • অ্যালকোহল পরিহার: অ্যালকোহল যকৃতের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
  • ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: যদি আপনার ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তাহলে তা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখুন।
  • নিয়মিত চেকআপ: নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ফ্যাটি লিভারের জটিলতা

যদি ফ্যাটি লিভার চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার এবং লিভার ফেইলিওরের মতো গুরুতর জটিলতায় পরিণত হতে পারে।

উপসংহার

ফ্যাটি লিভার একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে, তবে সঠিক জীবনযাত্রা ও চিকিৎসার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা এবং চিকিৎসা করা সম্ভব। তাই, উপরোক্ত পরামর্শগুলি অনুসরণ করে আপনি সুস্থ থাকতে পারেন।