ঘুম জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। এটি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব ঘুম দিবস উপলক্ষে আমরা সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ঘুমের গুরুত্ব ও এর সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
আধুনিক জীবনযাত্রা, কাজের চাপ, মানসিক উদ্বেগ এবং অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারণে অনেকেই ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। ইনসোমনিয়া (অনিদ্রা), স্লিপ অ্যাপনিয়া (ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হওয়া), এবং অন্যান্য ঘুমের রোগ ক্রমশ বাড়ছে। ডাঃ মোঃ ফজলে কিবরিয়া চৌধুরী বলেন, “ঘুমের সমস্যা শুধু ক্লান্তিই বাড়ায় না, এটি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং মানসিক অবসাদের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়।”
ঘুমের মান উন্নত করতে কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে:
- নিয়মিত ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে উঠা শরীরের ঘুমের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে।
- ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন: শান্ত, অন্ধকার এবং ঠান্ডা ঘর ঘুমের জন্য আদর্শ।
- ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন: ঘুমানোর আগে এই ধরনের পানীয় সেবন করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
- প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকুন: ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা টিভি ব্যবহার করলে নীল আলো মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
ঘুমের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো সমস্যাগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করে চিকিৎসা করা গেলে জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত করা সম্ভব।”
বিশ্ব ঘুম দিবসে আসুন আমরা সবাই ঘুমের গুরুত্ব বুঝি এবং সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলি।