মূত্রতন্ত্রের অস্ত্রোপচার: কম আক্রমণাত্মক পদ্ধতির দিকে

মূত্রতন্ত্রের অস্ত্রোপচার বলতে মূত্রনালী, মূত্রথলি বা কিডনি সম্পর্কিত যে কোনো ধরনের শারীরিক অস্ত্রোপচারকে বোঝায়। অতীতে এই ধরনের অস্ত্রোপচার বেশ জটিল এবং দীর্ঘ সময়ের ছিল। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে মূত্রতন্ত্রের অস্ত্রোপচার এখন আর আগের মতো জটিল নয়। বরং কম আক্রমণাত্মক এবং দ্রুত সুস্থতার জন্য উপযুক্ত নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে।

কেন কম আক্রমণাত্মক পদ্ধতি?

 

  • ছোট করে কাটা: পুরোনো পদ্ধতিতে বড় করে কেটে  অস্ত্রোপচার করতে হতো। কিন্তু আধুনিক পদ্ধতিতে খুব ছোট করে কেটে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব।
  • কম রক্তক্ষরণ: ছোট চিরাটের ফলে রক্তক্ষরণও অনেক কম হয়।
  • কম ব্যথা: কম রক্তক্ষরণ এবং ছোট চিরাটের ফলে অস্ত্রোপচারের পর ব্যথাও কম হয়।
  • দ্রুত সুস্থতা: কম আক্রমণাত্মক পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করা রোগীরা অনেক দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
  • হাসপাতালে কম দিন থাকতে হয়: সাধারণত কম আক্রমণাত্মক পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করা রোগীদের হাসপাতালে কম দিন থাকতে হয়।

কম আক্রমণাত্মক মূত্রতন্ত্রের অস্ত্রোপচারের ধরন

  • লেজার সার্জারি: লেজার ব্যবহার করে মূত্রনালীর পাথর ভেঙে ফেলা বা টিউমার অপসারণ করা হয়।
  • এন্ডোস্কোপি: একটি পাতলা টিউবের মধ্য দিয়ে ক্যামেরা এবং সার্জিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ঢুকিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়।
  • ইউরেটেরোস্কোপি: মূত্রনালীর মধ্যে একটি পাতলা টিউব ঢুকিয়ে পাথর ভেঙে ফেলা বা টিউমার অপসারণ করা হয়।

কম আক্রমণাত্মক মূত্রতন্ত্রের অস্ত্রোপচারের সুবিধা

  • সঠিক নির্ণয়: এই পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের সময়ই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগের সঠিক নির্ণয় করা যায়।
  • কম জটিলতা: খোলা অস্ত্রোপচারের তুলনায় এই পদ্ধতিতে জটিলতার সম্ভাবনা অনেক কম।
  • কম খরচ: দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকতে না হওয়ায় খরচও অনেক কম হয়।
  • দ্রুত জীবনে ফিরে যাওয়া: কম সময়ে সুস্থ হয়ে রোগীরা আবার নিজেদের কাজে ফিরে যেতে পারে।

কারা কম আক্রমণাত্মক মূত্রতন্ত্রের অস্ত্রোপচার করাতে পারেন?

  • মূত্রনালীর পাথর
  • মূত্রথলির সংক্রমণ
  • প্রস্রাবের সমস্যা
  • প্রোস্টেট সমস্যা
  • মূত্রনালীর ক্যান্সার
  • মূত্রথলির ক্যান্সার
  • কিডনির ক্যান্সার

এই ধরনের যে কোনো সমস্যা থাকলে আপনার মূত্ররোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।