শিশুদের সার্জারি সম্পর্কিত ভুল ধারণা এবং সত্য: সঠিক তথ্য জানুন

শিশুদের সার্জারি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক বাবা-মা এই বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ বা ভুল ধারণা পোষণ করেন। এই ভুল ধারণাগুলি তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আসুন শিশুদের সার্জারি সম্পর্কে কিছু সাধারণ মিথ এবং সত্য সম্পর্কে জেনে নিই।

মিথ ১: শিশুরা সার্জারির ব্যথা অনুভব করে না

সত্য: শিশুরা বড়দের মতোই ব্যথা অনুভব করে। তবে শিশুরা তাদের ব্যথা প্রকাশ করতে পারে না বা তাদের ব্যথা বোঝাতে পারে না। তাই সার্জারির আগে ও পরে শিশুকে ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়।

মিথ ২: সার্জারির পর শিশুকে অনেক দিন হাসপাতালে রাখতে হয়

সত্য: সার্জারির ধরন এবং শিশুর স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে হাসপাতালে থাকার সময়কাল নির্ধারিত হয়। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির কারণে অনেক ক্ষেত্রে শিশুকে কম সময়ের জন্য হাসপাতালে রাখতে হয়।

মিথ ৩: সার্জারি শিশুর বৃদ্ধিতে বাধা দেয়

সত্য: সার্জারির ধরন এবং শিশুর বয়সের উপর নির্ভর করে এই ধারণা সত্য হতে পারে। তবে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির কারণে সার্জারির পর শিশুর বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

মিথ ৪: শিশুদের সার্জারি খুব ঝুঁকিপূর্ণ

সত্য: সব ধরনের সার্জারিরই কিছু ঝুঁকি থাকে। তবে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির কারণে শিশুদের সার্জারির ঝুঁকি অনেক কমে গেছে। অভিজ্ঞ সার্জন এবং আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে এই ঝুঁকি আরও কমানো সম্ভব।

মিথ ৫: সার্জারির পর শিশু মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হবে

সত্য: সার্জারির পর শিশু মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে। তবে বাবা-মায়ের সঠিক যত্ন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করলে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব।

সত্যি কী?

  • শিশুদের সার্জারি একটি সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি: অনেক শিশুরই জীবনের কোনো না কোনো সময় সার্জারির প্রয়োজন হয়।
  • সার্জারির আগে এবং পরে শিশুকে বিশেষ যত্ন দেওয়া হয়: শিশুর বয়স, স্বাস্থ্য এবং সার্জারির ধরন অনুযায়ী বিশেষ যত্ন দেওয়া হয়।
  • সার্জারির সফলতা অনেকগুলি কারণের উপর নির্ভর করে: সার্জনের অভিজ্ঞতা, হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের উপর সার্জারির সফলতা নির্ভর করে।
  • বাবা-মায়ের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: সার্জারির আগে এবং পরে বাবা-মায়ের সহযোগিতা শিশুর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠাতে সাহায্য করে।

উপসংহার:

শিশুদের সার্জারি সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। বাবা-মায়ের উচিত সঠিক তথ্য জেনে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।