বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এ পুরোদমে শুরু হয়েছে শিশু হৃদরোগ চিকিৎসা সেবা।
সম্প্রতি তেমনই একটি সফল চিকিৎসা সম্পন্ন করেছে এভারকেয়ার-এর শিশু হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. তাহেরা নাজরিন; নিওনেটোলজি ও পেডিয়াট্রিকস বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. দীপিকা দে এবং পেডিয়াট্রিক ও চাইল্ড হেলথ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রণব কান্তি মল্লিক।
উক্ত চিকিৎসার সফলতার উপলক্ষ্যে একটি অভিজ্ঞতা বিনিময় সভার আয়োজন করে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম।
এক বছর আট মাস বয়সী ছোট্ট শিশু আশরাফ উদ্দিন আয়াত মুখ দিয়ে অদ্ভুত রকম শব্দ করতো। এতে বিচলিত হয়ে শিশুর বাবা তাকে স্থানীয় একজন চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে তিনি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন। অতঃপর রোগীকে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর চাইল্ড হেলথ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রণব কান্তি মল্লিক-এর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি শিশুর হার্টজনিত রোগের আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. তাহেরা নাজরিন সম্পর্কে অবগত করেন।
পরে তিনি রোগীর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হার্টে ছিদ্র থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অতঃপর রোগীর স্বজনদের সম্মতিক্রমে ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে একটি আধুনিক ডিভাইস দ্বারা ছিদ্র বন্ধ করে যথাযথভাবে চিকিৎসা সম্পন্ন করা হয়। শিশুটি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।
এই প্রসঙ্গে এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. তাহেরা নাজরিন বলেন, “শিশুদের চিকিৎসা অন্যান্য যেকোনো চিকিৎসা থেকে তুলনামূলক জটিল ও স্পর্শকাতর হয়। এই শিশুটি একজন স্পেশাল চাইল্ড এবং তার বড় ধরনের অস্বাভাবিক আকৃতির হার্টের জন্মগত ছিদ্র ছিল যা আমরা অত্যন্ত সফলভাবে ডিভাইসের মাধ্যমে বন্ধ করেছি। এভারকেয়ার হসপিটালের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনার ফলে আমাদের এই সকল সেবা অনেকাংশেই সহজ হয়ে যায়।”
উল্লেখ্য, হার্টের ছিদ্র বন্ধ করতে যে ডিভাইস ব্যবহৃত হয় তা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে দিচ্ছে এভারকেয়ার হসপিটাল যা সত্যিই প্রশংসনীয়।