নবজাতকের যত্ন: নেওনাটাল কেয়ার

নেওন্যাটাল কেয়ার হলো নবজাতক শিশুদের বিশেষ যত্নের একটি শাখা। জন্মের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ বা মাসে অনেক নবজাতকের বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলো নির্ণয় এবং চিকিৎসা করার জন্যই নেওন্যাটাল কেয়ার বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

কেন নেওন্যাটাল কেয়ার গুরুত্বপূর্ণ?

  • জন্মগত সমস্যা: অনেক শিশু জন্মের সময় কোনো না কোনো জন্মগত সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। নেওন্যাটাল কেয়ারের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো দ্রুত শনাক্ত করে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
  • অপরিপক্ক শিশু: যাদের জন্মের সময় ওজন কম বা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পুরোপুরি বিকশিত হয়নি, তাদেরকে নেওন্যাটাল ইউনিটে রেখে বিশেষ যত্ন দেওয়া হয়।
  • সংক্রমণ প্রতিরোধ: নবজাতকরা সংক্রমণের প্রতি বেশি সংবেদনশীল। নেওন্যাটাল কেয়ারে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে শিশুকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা হয়।
  • মাতা-শিশুর বন্ধন: নেওন্যাটাল কেয়ার ইউনিটে মায়েরা তাদের শিশুকে স্পর্শ করতে, দুধ খাওয়াতে এবং তাদের সাথে সময় কাটাতে পারেন যা মাতা-শিশুর বন্ধন সৃষ্টিতে সাহায্য করে।

নেওন্যাটাল কেয়ার ইউনিটে কী করা হয়?

  • শ্বাস সহায়তা: যদি শিশুর শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে তাকে ভেন্টিলেটরের সাহায্যে শ্বাস দেওয়া হয়।
  • তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: শিশুর শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
  • পুষ্টি সরবরাহ: শিশুকে নাসাগাস্ট্রিক টিউবের মাধ্যমে দুধ খাওয়ানো হয়।
  • সংক্রমণ প্রতিরোধ: শিশুকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
  • জন্মগত সমস্যার চিকিৎসা: শিশুর যদি কোনো জন্মগত সমস্যা থাকে, তাহলে তার চিকিৎসা করা হয়।

কখন নেওন্যাটাল কেয়ারের প্রয়োজন হয়?

  • জন্মের সময় অপরিপক্ক হলে: যদি শিশু জন্মের সময় অপরিপক্ক হয় তখন তাকে নেওন্যাটাল ইউনিটে রাখা হয়।
  • জন্ম ওজন কম হলে: যদি শিশুর জন্ম ওজন কম হয় তখন তাকে নেওন্যাটাল ইউনিটে রাখা হয়।
  • শ্বাসকষ্ট হলে: যদি শিশুর শ্বাসকষ্ট হয় তখন তাকে নেওন্যাটাল ইউনিটে রাখা হয়।
  • হৃদরোগ থাকলে: যদি শিশুর হৃদরোগ থাকে তখন তাকে নেওন্যাটাল ইউনিটে রাখা হয়।
  • মস্তিষ্কের কোনো সমস্যা থাকলে: যদি শিশুর মস্তিষ্কের কোনো সমস্যা থাকে তখন তাকে নেওন্যাটাল ইউনিটে রাখা হয়।
  • জন্মগত কোনো विकৃতি থাকলে: যদি শিশুর জন্মগত কোনো विकৃতি থাকে তখন তাকে নেওন্যাটাল ইউনিটে রাখা হয়।

উপসংহার:

নেওন্যাটাল কেয়ার হলো নবজাতকদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এই বিশেষ যত্নের মাধ্যমে অনেক নবজাতকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয় এবং তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করা যায়।