কিডনি জটিলতা নিরাময়ে চাই সচেতনতা

কিডনি জটিলতা Kidney complications

কিডনি জটিলতা নিরাময়ে চাই সচেতনতা

বিশ্বের ৮৫০ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত, যার মধ্যে প্রতিবছর ২.৪ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। বিশ্বব্যাপি প্রতি ১০ জনে ১ জন এবং বাংলাদেশে প্রতি ৭ জনে ১ জন কিডনি রোগে আক্রান্ত। দিন দিন বিভিন্ন কারণে কিডনি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ একটু সচেতন হলেই আমরা কিডনি সুস্থ রাখতে পারি

কিডনির মানবশরীরে রক্ত প্রবাহ পরিচালনা করে। কিডনিতে প্রায় ১০ লক্ষ নেফ্রন নামক উপাদান থাকে, যা রক্তে জমে থাকা দূষিত ও ক্ষতিকারক পদার্থ আলাদা করে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়। এর পাশাপাশি শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা, বিভিন্ন হরমোন তৈরি বা তৈরিতে সাহায্য করা, রক্তকনা তৈরিতে সাহায্য করা, শরীরের হাড় সুস্থ রাখা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজও কিডনি দ্বারা হয়। তাই কিডনি যদি সুস্থ না থাকে তাহলে এসব কাজে বিঘ্ন সৃষ্ট হয় এবং শারীরিক বিপর্যয় দেখা দেয়।

কিডনি রোগীদের অধিকাংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অনিয়ন্ত্রিত ও দীর্ঘকালীন ডায়াবেটিস কিডনি বিকলের অন্যতম কারণ। উচ্চ-রক্তচাপ আরেকটি কারণ। এটিও ডায়াবেটিসের মতোই নীরব ঘাতক। গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস, পলিসিস্টিক-এর মতো কিডনি জটিলতার কারণে উচ্চ-রক্তচাপ হতে পারে। ফলে উচ্চ-রক্তচাপের কারণ খুঁজতে গিয়ে কিডনির অন্তর্নিহিত আরেকটি রোগও ধরা পড়তে পারে। অন্যদিকে, শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে কিডনি বিকল হয়ে পড়তে পারে। পানিশূন্যতার অন্যতম কারণ হলো ডায়ারিয়া, বমি ইত্যাদি।

তবে অতিরিক্ত গরম, শরীর পুড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত রক্তপাত ইত্যাদি কারণে শরীর থেকে অনেক লবণ পানি বেরিয়ে যায়। ফলে পানিশূন্যতা দেখা দেয় এবং কিডনি বিকলতার ঝুঁকি থাকে। পরিবারে কিডনি রোগের ইতিহাস থাকলেও কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়া প্রস্রাবের চাপ আটকে রাখা, অপুষ্টি, ধূমপান, অতিরিক্ত বা ভুল ঔষধ খাওয়া ইত্যাদি কারণেও কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সাধারণত ৭০-৮০ ভাগ কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট বা বিকল হওয়ার আগে রোগের উপসর্গ বোঝা যায় না।

তবে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব লাল হওয়া, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, কোমরের দুই পাশে ও তলপেটে ব্যথা, শরীর-মুখ ফোলা ইত্যাদি কিডনি রোগেরই সংকেত দেয়। এসব সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসার তিন মাসের মধ্যে রোগ না সারলে এটিকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হিসেবে ধরা হয়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নেফ্রাইটিসের (কিডনির বিভিন্ন সমস্যা) কারণে শতকরা ৮০ ভাগ রোগীর কিডনি বিকল হয় বা ঝুঁকি থাকে।

আমাদের দেশেই এখন কিডনি রোগের আধুনিক পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয়, পরামর্শ এবং বিশ্বমানের চিকিৎসা সম্পন্ন হচ্ছে। সিটি স্ক্যান, এমআরআই এবং কিডনি বায়োপসি ছাড়াও আধুনিক পদ্ধতি যেমন; ইউআরই (প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা); ইউরিন অ্যালবুমিন; ক্রিয়েটিনাইন রেশিও (এসিআর); ইজিএফআর; কেইউবি এরিয়ার আল্ট্রাসাউন্ড ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি রোগ নির্ণয় করা হয়।

কিডনি রোগের চিকিৎসা কিছুটা ব্যয়বহুল বটে, তবে একটু সচেতন হলে ৫০-৬০ ভাগ ক্ষেত্রে সেই ঝুঁকি প্রতিরোধ করা সম্ভব। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান, বছরে একবার কিডনি পরীক্ষা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ-রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ না খাওয়া; অপুষ্টিকর ও ভেজাল খাবার পরিহার করা; নিয়মিত হাঁটাসহ শারীরিক পরিশ্রম করা কিডনিকে সুস্থ রাখতে ও রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধে সাহায্য ব্যাপক করে।

কিডনির একটি জটিল রোগ হলো সিকেডি, যা অন্যান্য অবস্থার তুলনায় কিছুটা গুরুতর। তবে এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম করণীয় হল অস্বাভাবিক জীবনযাপন ত্যাগ করা, যতটা সম্ভব সতর্ক থাকা, সময়মতো ঔষধ খাওয়া, শারীরিক-মানসিকভাবে সুস্থ থাকার চেষ্টা করা। এছাড়া, উচ্চ-রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ-কোলেস্টেরল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখা। সিকেডি’র অবস্থা গুরুত্বর (স্টেজ ৫) হলে ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপনেরও প্রয়োজন হতে পারে। তাই এসময় রোগীর বাড়তি যত্ন নিশ্চিত ও সচেতন থাকা খুব জরুরি।

 

স্ট্রোক পরবর্তী সার্জারির প্রয়োজনীয়তা

স্ট্রোক পরবর্তী সার্জারি | Surgery after Stroke

স্ট্রোক পরবর্তী সার্জারির প্রয়োজনীয়তা

আমরা মূলত দুই ধরণের স্ট্রোকের সাথে পরিচিত; ‘হেমোরেজিক’ ও ‘ইস্কিমিক’। হেমোরেজিক স্ট্রোক ব্রেন হ্যামারেজ নামেও পরিচিত। এর ফলে সাধারণত মস্তিষ্কের রক্ত চলাচলের নালী ছিঁড়ে যায়, যার ফলে অবস্থা মুহূর্তের মধ্যেই জটিল হতে পারে। অপরদিকে, ইস্কিমিক স্ট্রোকে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, এমনকি বন্ধও হয়ে যায়।

সহজভাবে বললে, যখন মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত সরবরাহ ব‌ন্ধ হয়ে গিয়ে মস্তিষ্কের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তখন তাকে ইস্কেমিক স্ট্রোক বলে। স্ট্রোকের চিকিৎসা কখনো কখনো যেমন সহজ, কখনো আবার কিছুটা জটিল। তবে সেটি নির্ভর করে রোগীর অবস্থা এবং তাৎক্ষনিক পদক্ষেপের উপর। স্ট্রোকের পর রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে ভয় না পেয়ে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ অথবা নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিৎ।

প্রাথমিক ভাবে কিছু পদক্ষেপ:

প্রাথমিক ভাবেও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শ্বাসনালী, শ্বাস-প্রশ্বাস ও রক্ত সঞ্চালন সচল রাখা। এছাড়া রোগীকে একদিকে কাত করে, বালিশ ছাড়া মাথা নিচু করে শোয়ানো, চোখের প্রতি লক্ষ্য রাখা, মূত্রথলির যত্ন নেওয়া, প্রয়োজনে ক্যাথেটার ব্যবহার করা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে রোগীকে যেকোন বড় জটিলতা থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

তবে রোগীর অবস্থাভেদে যদি সার্জারির প্রয়োজন হয় তবে তা অবহেলা করা উচিৎ নয়। মধ্যবয়স্ক রোগী বা যাদের বয়স ৪০ এর কম, তাদের ক্ষেত্রে মূলত সার্জারি প্রয়োজন হয়। রক্ত জমাট বাঁধলে তা যত দ্রুত সম্ভব ক্রেনিয়েক্টমি (মাথার খুলি কেটে) করে সাবধানতার সাথে সার্জারি করতে হয়, নাহলে ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেক রোগীই প্রাথমিক পর্যায়ে গাইডলাইন ফলো করে না, ফলে তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভোগেন। সুতরাং, এই বিষয়গুলো অবহেলা করা যাবে না।

স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি অন্যতম একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। অনেক সময় দেখা যায়, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল বা প্রান্তিক অঞ্চলগুলোয় ফিজিওথেরাপি নিয়ে জনমনে সচেতনতা খুবই কম। অনেক রোগীরই স্ট্রোকের পর হাত-পা বেঁকে যায় এবং বাকি জীবন এভাবেই থেকে যায়। সেসব রোগীদের জন্য ফিজিওথেরাপী ভীষণ উপকারী। অনেকে ভাবেন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা কোন কাজে আসে না। তবে ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। তবে সঠিক স্থানে ও সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

 

ডা. মো: আনিসুল ইসলাম খান
সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর, নিউরোসার্জারি বিভাগ
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম

হৃদরোগের কারণ ও চিকিৎসা

Heart disease হৃদরোগের কারণ ও চিকিৎসা

হৃদরোগের কারণ ও চিকিৎসা

হৃদযন্ত্রের নিজস্ব রক্তনালীতে চর্বি জমে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যা হৃদরোগ হিসেবে পরিচিত। যেকেউই হৃদরোগের শিকার হতে পারেন। কিশোর বয়স থেকে সূত্রপাত হলেও সাধারণত মধ্যবয়স থেকে রোগ প্রকাশ পেয়ে থাকে। পুরুষদের হৃদরোগের প্রবণতা তুলনামূলক বেশি, তবে নারীরাও বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের বাড়তি ঝুঁকিতে থাকেন।

যারা ধূমপান করেন এবং ডায়াবেটিস, উচ্চ-রক্তচাপ, রক্তে উচ্চ-মাত্রায় কোলেস্টেরল জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের হৃদরোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি। পরিবারে পূর্বে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীর সমস্যা বা ইসকেমিক ডিজিজ থাকলে পরিবারের অন্যান্যদের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

হৃদরোগের শুরুতে শুয়ে-বসে থাকলে কোন উপসর্গ দেখা না দিলেও শারীরিক পরিশ্রমের সাথে সাথে বুকের মাঝখানে ব্যাথা বা অসস্তি অনুভূত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বুক ভারী, বুকে চাপ, বাম হাত-ঘাড় বা চোয়ালে, বুকের পেছনে ইত্যাদি জায়গায় ব্যথা অনুভূত হতে পারে। পেটের উপরিভাগে ব্যথাও অনেক ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে।

হৃদরোগের চূড়ান্ত পর্যায়ে অতিরিক্ত ঘাম, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা, জ্ঞান হারানো ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে, বুকে ব্যথা অনুভূত হলে রোগীকে দ্রুতই নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে এবং দ্রুত ই.সি.জি ও রক্ত পরীক্ষা করে হার্ট অ্যাটাকের বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি

হৃদরোগে আক্রান্তরা যেকোনো মূহুর্তেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকেন। হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে রক্ত চলাচল পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই হলো এর প্রধান চিকিৎসা। যত দ্রুত চিকিৎসা প্রদান করা যায়, রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তত বেশি। এনজিওগ্রাম-এর মাধ্যমে হার্টের ব্লক সনাক্ত করে দ্রুত তা অপসারণ করে রক্ত চলাচল পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হলো হার্ট অ্যাটাকের সর্বাধুনিক চিকিৎসা। তবে এজন্য প্রয়োজন আধুনিক সরঞ্জামসমৃদ্ধ ক্যাথল্যাব ও সার্বক্ষণিক দক্ষ জনশক্তি।

আবার বিকল্প হিসেবে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে রক্ত জমাট ভেঙ্গে দিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করা যেতে পারে। উভয় পদ্ধতিই হার্ট অ্যাটাকের স্বীকৃত চিকিৎসা। কোন পদ্ধতি কোন রোগীর ক্ষেত্রে অধিক কার্যকরী তা নির্ভর করে রোগীর অবস্থা ও চিকিৎসকের পরামর্শের উপর।

স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করলে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। ধূমপান ত্যাগ করা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুড পরিহার করা, যথাসম্ভব দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপমুক্ত থাকা ইত্যাদি অভ্যাসের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর ইতোমধ্যেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যদি নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলেন, তাহলে হৃদরোগ নিয়েও দীর্ঘসময় স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব।

 

ডা: মো: তারিক বিন আব্দুর রশিদ
সিনিয়র কনসালটেন্ট, ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম।

গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব

গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব

মা শুধু পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ডাক বা অনুভূতিই নয়, মাতৃত্ব একজন নারীর সবচেয়ে বড় সার্থকতা। কিন্তু একজন নারী যখন প্রথমবার গর্ভধারণ করেন তখন অনেক কিছুই তার অজানা থাকে। তাই সন্তান ধারণ থেকে শুরু করে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত একজন মা’কে অনেক বিষয়ে সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়। চলুন গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

একজন গর্ভবতী মায়ের যথাযথ যত্ন নিশ্চিতে পরিবারের সদস্য ও কাছের মানুষরাই প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু নিজেরও অসতর্ক হলে চলবে না। কারণ মায়ের সুস্থতার উপরে আগত সন্তানের সুস্থতা নির্ভরশীল।

গর্ভবতী মায়ের খাওয়া দাওয়া এবং মানসিক ও শারীরিক যত্নঃ

শিশু গর্ভে থাকাকালীন তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠিত হয়। তাই এসময় মায়ের খাদ্যের উপর বিশেষ যত্ন নিতে হবে। মায়ের খাওয়া খাদ্য প্লাসেন্টা’র মাধ্যমে শিশুর শরীরে প্রবেশ করে।

তাই মা যা খাচ্ছে সেটি মা-শিশু উভয়ের জন্যই পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান দিচ্ছে কিনা, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অন্যদিকে মা যদি অসুস্থ হয় বা যদি কোনো বিষয়ে মানসিকভাবে উদ্বিগ্ন থাকে, সেটিও উভয়ের জন্য সমান ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই গর্ভকালীন একজন মায়ের সমানভাবে শারীরিক ও মানসিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। মানসিক চাপমুক্ত থাকা, ভারী কোন ওজন না নেওয়া, উঁচুনিচু স্থান এড়িয়ে চলা, ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

পরিকল্পিত গর্ভধারণ মা ও শিশু উভয়ের জন্যই অত্যন্ত নিরাপদ। সন্তান ধারণের আগে মায়ের ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি শারীরিক পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন। সেইসাথে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সন্তান ধারণের তিনমাস আগ থেকে নিয়মিত ফলিক অ্যাসিডসহ অন্যান্য ওষুধ সেবনের প্রয়োজনও হতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের পোশাক নিয়েও সচেতন থাকা উচিৎ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আরামদায়ক, সহজে পরিধানযোগ্য ও ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান এবং সঠিক মাপের নরম জুতা পরা এবং উঁচু বা হিল জুতা পরিহার করাই শ্রেয়।

একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর প্রায় প্রতি মাসেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিৎ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি তথ্য অনুযায়ী, একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অবশ্যই কমপক্ষে চারবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। এই চারবার হচ্ছে যথাক্রমে ১৬, ২৮, ৩২ ও ৩৬তম সপ্তাহে। এছাড়া কারও শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

একজন প্রসুতি মায়ের জন্য গর্ভধারণকালীন প্রথম এবং শেষ তিনমাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশু গর্ভে থাকার প্রথম তিন মাসেই তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পূর্ণ রূপ ধারণ করে। গর্ভাবস্থায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মায়েদের হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পড়ে যায়। কারণ এ সময় গর্ভস্থ শিশুর শরীরে লৌহের চাহিদা মেটানোর পর মায়েদের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। এজন্য গর্ভবতী মাকে এসময় প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।

গর্ভে থাকাকালীন শেষ তিন মাস শিশু খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে। যে কারণে প্রসূতি মায়ের পায়ে পানি আসতে পারে। এছাড়া শেষ তিন মাসে পেট বড় হয়ে যাওয়ার কারণে গর্ভবতী মায়ের অনেক কষ্ট হয়। এই সময়ে কিছু জটিলতাও দেখা দিতে পারে, যেমন অস্বাভাবিক পেট বড় বা ছোট হওয়া, হঠাৎ রক্ত ভাঙা, খুব বেশি জ্বর আসা, রক্তচাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়া। এমন পরিস্থিতিতে অনতিবিলম্বে চিকিৎসককে দেখাতে হবে।

বিশ্বমানের সুবিধাসম্পন্ন এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এ মা ও শিশুর জন্য রয়েছে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার সেন্টার। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও সর্বাধুনিক সুবিধায় সুসজ্জিত এই হসপিটাল মা ও শিশুর সুসাস্থ্য নিশ্চিতে একটি আস্থাময় স্থান। তাই গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্ত পানি ভাঙলে, ব্যথা উঠলে, বাচ্চার নড়াচড়া কমে গেলে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার সেন্টার-এ।

 

ডা: ফারজানা হাসীন (মুক্তি)
এমবিবিএস, ডিজিও, এফসিপিএস (গাইনি অ্যান্ড অবস্)
এমসিপিএস (গাইনি অ্যান্ড অবস্)
সিনিয়র কনসালটেন্ট- অবস্ অ্যান্ড গাইনি
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম

ERCP: An Effective Procedure for Common Bile Duct Stones, Stenting in Cancer Patients, and Emergency Relief

ERCP

How ERCP can help you with your bile duct problems

Endoscopic Retrograde Cholangiopancreatography (ERCP) is a minimally invasive procedure that combines endoscopy and fluoroscopy to diagnose and treat disorders of the bile ducts, pancreatic ducts, and gallbladder. ERCP is a safe and effective procedure that can help diagnose and treat a variety of conditions related to the biliary and pancreatic systems.

One of the most common applications of ERCP is the removal of common bile duct stones. These stones are formed from bile components and can cause jaundice, pain, and inflammation of the pancreas. ERCP is used to remove these stones and can be performed as an outpatient procedure.

ERCP Procedure: How It Works

During the procedure, an endoscope is inserted through the mouth and into the duodenum, where it can access the opening of the bile duct. A catheter is then inserted into the duct and contrast dye is injected to visualize any stones or blockages. If stones are detected, a small basket or balloon is used to remove them.

ERCP can also be used to place plastic or metallic stents in patients with cancer of the gallbladder or pancreas. These stents can help relieve blockages caused by the tumor and can improve the patient’s quality of life. The stent can be inserted through the bile duct during the ERCP procedure, and can remain in place for several months.

In emergency situations, ERCP can also be used to place stents for relief of pain, fever, and jaundice caused by cholangitis. Cholangitis is a serious condition that occurs when the bile ducts become infected and inflamed. The placement of a stent can help relieve the pressure and improve the patient’s symptoms.

In conclusion, ERCP is a safe and effective procedure that can help diagnose and treat a variety of conditions related to the biliary and pancreatic systems. From the removal of common bile duct stones to the placement of stents for cancer patients and emergency situations, ERCP is a versatile procedure that can significantly improve patient outcomes.

 

Dr. Sandeep Dhavan 
MBBS,MD (Medicine), DM (Gastroenterology) (PGIMER-Chandigarh, India)
Senior Consultant at Evercare Hospital Chattogram
Gastroenterology & Hepatology

Colonoscopy: A Valuable Diagnostic and Therapeutic Procedure

Endoscopy - A Diagnostic & Therapeutic Tool | Evercare Hospital Chattogram

Colonoscopy is a medical procedure used to diagnose and treat conditions of the large intestine. A long, flexible tube with a camera and light, called a colonoscope, is inserted into the rectum and through the colon to examine the lining of the intestine. It is a valuable tool used by gastroenterologists to diagnose and treat a range of conditions.

Diagnostic Colonoscopy:

Colonoscopy is primarily used as a diagnostic tool to investigate symptoms related to the large intestine. These symptoms include abdominal pain, chronic blood loss, chronic diarrhea, and per rectal bleeding. It is also used for surveillance colonoscopy in patients with a history of polyps, inflammatory bowel disease, or cancer. During the procedure, the doctor can take tissue samples for biopsy, remove polyps, and look for any abnormalities that may be present.

Therapeutic Colonoscopy:

In addition to diagnostic use, colonoscopy is also used therapeutically to treat various conditions of the large intestine. Some of the procedures performed using colonoscopy include:

Polypectomy:

Polyps are small growths on the inner lining of the intestine that can become cancerous over time. Colonoscopy can be used to remove these polyps to reduce the risk of cancer.

Colonic dilatation:

Colonic dilatation is used to treat strictures, or narrowings, in the colon that can cause obstruction. The doctor can use a balloon to gently stretch the narrowed area and restore normal function.

Hemostasis of ulcer bleed:

Ulcers can cause bleeding in the colon, and colonoscopy can be used to stop the bleeding by applying various techniques like injection, clips or thermal treatment.

In conclusion, colonoscopy is a valuable diagnostic and therapeutic procedure used to examine and treat conditions of the large intestine. It is a safe and effective way to diagnose and treat a range of conditions, including polyps, strictures, and ulcer bleeding. If you are experiencing any symptoms related to the large intestine, speak to your doctor to see if colonoscopy may be the right choice for you. It is important to follow up with your gastroenterologist regularly to ensure optimal care and management of your intestinal health.

 

Dr. Sandeep Dhavan
MBBS,MD (Medicine), DM (Gastroenterology) (PGIMER-Chandigarh, India)
Senior Consultant at Evercare Hospital Chattogram
Gastroenterology & Hepatology

Endoscopy: A Diagnostic and Therapeutic Tool

Endoscopy - A Diagnostic & Therapeutic Tool | Evercare Hospital Chattogram

Endoscopy is a medical procedure that involves the insertion of a long, flexible tube with a camera and light at the end, called an endoscope, into the body to view the internal organs. It is a valuable diagnostic and therapeutic tool used by gastroenterologists to examine and treat conditions of the digestive system.

Diagnostic Endoscopy:

Gastrointestinal symptoms are common, and endoscopy is often used to diagnose conditions like acidity, indigestion, abdominal pain, vomiting, difficulty in swallowing, bleeding from the mouth, and foreign body ingestion. These symptoms can be caused by a variety of conditions, and endoscopy helps identify the underlying problem. During the procedure, the doctor can take tissue samples for biopsy, remove polyps, and look for any abnormalities that may be present.

Therapeutic Endoscopy:

In addition to diagnostic use, endoscopy is also used therapeutically to treat various conditions of the digestive system. Some of the procedures performed using endoscopy include:

Ulcer bleeding treatment by clipping/injection/diathermy: Endoscopic techniques can be used to stop bleeding from ulcers by clipping, injecting medication, or using diathermy to seal the ulcer.

Endoscopic variceal band ligation:

This procedure is used to treat bleeding varices, which are enlarged veins in the esophagus or stomach.

Foreign body removal:

Endoscopy can be used to remove foreign objects, such as coins or bones, that have been swallowed.

Esophageal stent placement for cancer of the food pipe:

Stents can be placed in the esophagus to help keep it open and allow food to pass through in cases of cancer-related narrowing.

Duodenal stent placement for cancer/stricture of duodenum:

Stents can also be placed in the duodenum, the first part of the small intestine, to treat narrowing caused by cancer or strictures.

Esophageal/stomach dilation for cases of post-corrosive ingestion/stricture:

Ingesting corrosive substances can cause damage to the esophagus or stomach, leading to strictures. Endoscopic dilation can help relieve the narrowing and improve swallowing.

Placement of Ryles tube for feeding purposes:

Endoscopy can be used to place a Ryles tube, which is a thin, flexible tube that passes through the nose or mouth and into the stomach. It is used for feeding purposes in cases where the patient cannot eat normally.

Percutaneous endoscopic gastrostomy (PEG) for long-term feeding:

In cases where a patient needs long-term feeding, a PEG tube can be inserted through the abdominal wall and into the stomach using endoscopy.

Polypectomy (endoloop):

Endoscopic techniques can be used to remove polyps, which are growths on the inner lining of the intestine. The endoloop is a device used to remove larger polyps by looping a wire around them and cutting them off.

In conclusion, endoscopy is a versatile tool that can be used for both diagnostic and therapeutic purposes. It is a safe and effective way to examine and treat conditions of the digestive system. If you are experiencing any gastrointestinal symptoms, speak to your doctor to see if endoscopy may be the right choice for you.

Dr. Sandeep Dhavan
MBBS,MD (Medicine), DM (Gastroenterology) (PGIMER-Chandigarh, India)
Senior Consultant at Evercare Hospital Chattogram
Gastroenterology & Hepatology

Kidney Disease: Importance, Function, and Health

Kidney Disease

How to Keep Your Kidneys Healthy

World Kidney Day is an annual global awareness campaign that aims to raise awareness about the importance of kidney health and the potential impact of kidney diseases. In honor of this day, it is important to understand more about the kidneys, their function, and ways to keep them healthy.

The kidneys are two bean-shaped organs located in the back of the abdominal cavity. They play a crucial role in filtering waste products and excess fluids from the blood, which are then excreted from the body as urine. Additionally, the kidneys help regulate blood pressure, produce hormones, and maintain electrolyte balance.

How to Prevent Kidney Disease

Unfortunately, kidney disease is a significant health issue that affects millions of people worldwide. Some of the most common causes of kidney disease include diabetes, high blood pressure, and family history of kidney disease. Symptoms of kidney disease may include fatigue, swelling in the legs and ankles, frequent urination, and foamy urine.

Early detection and treatment of kidney disease can help slow or even stop the progression of the disease. Treatment options may include medication, lifestyle changes, and in some cases, dialysis or kidney transplant.

Preventative measures can also be taken to keep the kidneys healthy. These measures may include maintaining a healthy diet, staying hydrated, exercising regularly, and avoiding smoking and excessive alcohol consumption.

In conclusion, World Kidney Day is an important reminder of the essential role that the kidneys play in maintaining overall health and wellbeing. By understanding the function of the kidneys, the risk factors for kidney disease, and the ways to keep the kidneys healthy, we can work towards reducing the burden of kidney disease and promoting better kidney health.

Dr. Mohammad Faizur Rahman
MBBS, MCPS, MD (Nephrology)
Senior Consultant- Nephrology
Evercare Hospital Chattogram

Awareness is the key to Prevent Suicide

Awareness is the key to Prevent Suicide

Awareness is the key to Prevent Suicide

Suicide…the last act of a depressed, dejected and despondent being, which they choose as a last resort to solve their life’s problems. But is suicide really a solution? Although the body can be freed from worldly pain through suicide, can the soul?

According to statistics from the WHO, there is an average of 1 suicide every 40 seconds all over the world. This means while you’re taking a sip of your cup of tea, , somewhere in the world someone is voluntarily taking a vacation from life. Even Bangladeshi statistics for suicide are quite alarming. According to sources, a total of 14,436 people died due to suicide in Bangladesh last year alone, which is 70% more than the total number of deaths due to corona in the first year of the country’s corona epidemic. But as much as we have been able to stay aware and take precautions for the corona epidemic and other physical problems, have we been equally aware and prepared to resist this silent killer called suicide?

The first important step in preventing suicide is to find out the reasons why a person chooses this path. Suicide is usually the ultimate manifestation of some mental disorder, one of which is depression. Sufferers of depression, often failing to achieve any dreams or goals, feel that their lives are meaningless at some point; as a result, they seek salvation through suicide. People may also choose this extreme approach due to stress, relationship problems, fear of loss of respect, family problems, physical pain, drug addiction and psychological abuse. According to WHO statistics, suicide rates are higher among people under the age of 30. Men are more vulnerable than women. On the other hand, apart from these regular reasons, the financial crisis caused due to the ongoing coronavirus epidemic, tension in relationships and depression caused by loneliness, the tendency of people to commit suicide has increased significantly.

There are several signs shown by a person at risk of suicide, which can largely help in predicting their decision. This is because suicidal tendencies don’t develop overnight. On the contrary, after a long period of time, the person loses his will to live when depression and shame accumulate in their mind. During this time, various negative thoughts are seen in the speech and activities of the person. Self-hatred, guilt, feeling like a burden to others etc. emerge in their conversations. Such people tend to be restless, get easily irritated by everything and distance themselves from friends and family. They even start searching online for various suicide execution plans.

A suicidal person’s thoughts usually go round and round in circles, and at some point, they unknowingly push themselves towards suicide. Therefore, a person at risk of suicide can mostly be helped by family members and close friends. In many cases, a suicidal person has communicated his or her thoughts directly or indirectly to those close to them through social media. Therefore, it is important to discuss with loved ones as soon as any such symptoms are seen. They need to be convinced that suicide is not a solution to the problem and that it is possible to find alternative ways to solve it. In addition, any deadly and dangerous material should be kept out of the reach of these vulnerable people. Above all, the person at risk should be referred to psychiatrists and psychologists as soon as possible. This is because proper care and counselling can help turn a suicidal person away from this path.

Loving yourself and those you love, and a little attention and care from your loved ones can prevent this silent killer called suicide. Negative thoughts like suicide can be eradicated only by making life meaningful and enjoyable through social values, mutual harmony and understanding. This requires education, discussion and above all, awareness. So let us be aware and help others to be aware. Let awareness be the key to prevent suicide.

Heart disease: the new concern for young people

Heart Disease - Causes, Symptoms, Prevention | Evercare Hospital Chattogram

In today’s world, heart disease, cardiac arrest or heart attack is considered to be one of the leading causes of death. At one time, it was thought that only the elderly were at risk of heart attacks. That notion is now deemed irrelevant due to the current situation, where young and middle-aged people are now suffering from heart attacks.

Around 20 million people worldwide die from cardiovascular disease each year, accounting for about 32% of global deaths. 60% of these deaths are due to heart attacks; coronary heart disease accounts for three-quarters of deaths in low- and middle-income countries in South Asia. In developing countries like Bangladesh, the risk of death due to heart disease is about 14.31%. In the last 10 years, the death rate due to heart attacks has increased 35 times for men and 48 times for women in Bangladesh. What is most alarming, however, is that incidents of heart attacks are gradually increasing among the younger generation.

Although common, many people may not know what a heart attack is or why it happens. For their convenience, I would like to convey the information that Myocardial Infarction, heart attack or whatever you may call it, is a medical complication when blood flow to the heart suddenly stops due to an obstruction. Plaque, also known as a block, is usually formed by the accumulation of fat and cholesterol in blood vessels. It is one of the main causes of a heart attack. Simply put, a blocked artery blocks the flow of oxygenated blood to a part of the heart, which results in a heart attack. If the blocked artery cannot be reopened quickly, the part of the heart that was supplied blood by that artery stops working, leading to death.

Symptoms usually appear days or weeks before a heart attack. If a doctor is consulted, the risk of death decreases with proper treatment; but in case of a sudden heart attack, the risk of death is quite high. A sudden heart attack is undoubtedly a large shock for the body and there is no specific age at which it occurs. Rather, the risk increases when there are inconsistencies in your lifestyle, consumption of unhealthy food, genetic problems, stress etc. But to think that it is asymptomatic because it occurs suddenly is the wrong assumption to make. Some of the symptoms of a sudden heart attack are constant pain or pressure in the chest, which lasts for a few minutes and can happen intermittently; you may feel pain while working, and then feel better while taking a rest. Besides this, nausea, indigestion, excessive sweating, fatigue etc. are some common symptoms of a sudden heart attack; but it is not the same case for everyone. On the other hand, another possible cause of death due to heart attack is post-Covid heart problems. Many who have recovered from Covid-19 have experienced blood clotting problems, which increases the risk of heart attacks.

It is true that the risk of heart attack increases as you get older. It also goes without saying that the risk skyrockets if there are problems with the heart and blood vessels.

Except nowadays, incidents of heart attacks are increasing at a significant rate even at a young age. The last 10 years of Global statistics show that heart attack rates among young and middle-aged adults have increased by 2% per year. According to doctors, inconsistent changes in modern lifestyles and physical inactivity are the two major reasons for increased problems in the heart and blood vessels. Incidents of heart attacks among young people are increasing day by day due to excessive smoking, lack of physical activity, not enough sleep, weight gain, excessive anxiety, eating unhealthy food, especially fat and cholesterol-rich food, diabetes, unhealthy lifestyle, hereditary causes etc. – but what is the best way to cure it?

The answer is very simple. Young or old, a heart attack can be life-threatening for anyone. Even if it doesn’t result in death, it can cause serious damage to your health. So, you need to get used to a lifestyle that does not increase the risk of heart problems. Eat food that does not clog blood vessels. Do things that keep your body active. The steps you can take to maintain this are to keep heart-friendly healthy food in your diet, exercise daily, avoid drugs and tobacco products, keep yourself cheerful, and if there is a history of a heart attack in your family, get screened from a young age. Even if not immediately, the risk of heart attack will decrease gradually.

Every living being must taste death; but a premature death is something no one desires. Heart attacks have become one of the leading causes of premature deaths among young people in recent times. So, everyone must be aware, and become interested in living a healthy life to prevent deaths due to heart attacks.