IVIG: আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বাহুবল

IVIG অর্থাৎ Intravenous Immunoglobulin। বাংলায় একে অন্তঃশিরা ইমিউনোগ্লোবুলিন বলা হয়। এটি হল এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে রোগীর শিরায় স্বাস্থ্যবান মানুষের রক্ত থেকে নিষ্কাশিত অ্যান্টিবডি দেওয়া হয়। এই অ্যান্টিবডিগুলো আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

IVIG কেন দেওয়া হয়?

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি: যাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় না, তাদের এই চিকিৎসা দেওয়া হয়।
  • অটোইমিউন রোগ: এই রোগে শরীরের নিজের কোষকে শত্রু মনে করে আক্রমণ করে। IVIG এই আক্রমণকে কমাতে সাহায্য করে।
  • অন্যান্য রোগ: কিছু কিছু নিউরোলজিকাল রোগ, কিডনি রোগ, রক্তের রোগ ইত্যাদিতেও IVIG দেওয়া হয়।

IVIG কীভাবে কাজ করে?

আমাদের শরীরে যেসব কোষ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে, সেগুলোকে অ্যান্টিবডি বলে। IVIG-এর মাধ্যমে শরীরে এই অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে শরীর বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে আরও ভালোভাবে লড়াই করতে পারে।

IVIG দেওয়ার পদ্ধতি

IVIG সাধারণত শিরায় ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটি কয়েক ঘণ্টা সময় নিতে পারে।

IVIG-এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

যদিও IVIG সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু ক্ষেত্রে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন:

  • জ্বর
  • মাথাব্যাথা
  • শরীর যন্ত্রণা
  • চুলকানি
  • বমি বমি ভাব

IVIG-এর সুবিধা

  • বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসায় কার্যকরী
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • অনেক ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে

মনে রাখবেন: IVIG একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। কোনো রোগের চিকিৎসায় IVIG দেওয়ার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সংক্ষেপে: IVIG হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি। যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কোনো সমস্যা থাকে বা কোনো অটোইমিউন রোগ হয়, তাহলে আপনার চিকিৎসক IVIG দেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।