নার্ভ কন্ডাকশন স্টাডি বা সংক্ষেপে এনসিভি হল একটি চিকিৎসা পরীক্ষা যা আমাদের স্নায়ু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসকরা বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুর সমস্যা যেমন, হাত-পায়ে অসাড়তা, ঝিনঝিনানি, দুর্বলতা ইত্যাদির কারণ খুঁজে বের করতে পারেন।
এনসিভি কেন করা হয়?
- স্নায়ুর সমস্যা নির্ণয়: কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম, সায়াটিকা, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি ইত্যাদি স্নায়ুর সমস্যা নির্ণয় করতে।
- স্নায়ুর আঘাতের মূল্যায়ন: কোনো আঘাতের পর স্নায়ু কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা জানতে।
- স্নায়ুর অস্ত্রোপচারের পর মূল্যায়ন: অস্ত্রোপচারের পর স্নায়ুর কার্যকলাপ কতটা স্বাভাবিক হয়েছে তা জানতে।
- ইএমজি পরীক্ষার সাথে মিলিয়ে: ইএমজি পরীক্ষার ফলাফলকে আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে।
এনসিভি পরীক্ষা কিভাবে করা হয়?
এনসিভি পরীক্ষার সময় চিকিৎসক স্নায়ুতে একটি ছোট বিদ্যুৎ সিগন্যাল পাঠান। এই সিগন্যাল স্নায়ু বরাবর যাওয়ার সময় স্নায়ুর গতিবেগ মাপা হয়। পরীক্ষার সময় রোগী কিছুটা ব্যথা অনুভব করতে পারেন।
এনসিভি পরীক্ষার ফলাফল
এনসিভি পরীক্ষার ফলাফল থেকে চিকিৎসকরা নিম্নলিখিত তথ্য পেতে পারেন:
- স্নায়ু কত দ্রুত সংকেত পাঠায়
- স্নায়ুতে কোনো ক্ষতি আছে কি না
- স্নায়ুর কোন অংশে সমস্যা আছে
এনসিভি পরীক্ষার সুবিধা
- এনসিভি একটি নিরাপদ পরীক্ষা।
- এনসিভি-এর মাধ্যমে স্নায়ুর বিভিন্ন রোগ সহজে নির্ণয় করা যায়।
- এনসিভি-এর মাধ্যমে স্নায়ুর কার্যকলাপের পরিবর্তন সময়ের সাথে সাথে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
মনে রাখবেন: এনসিভি একটি চিকিৎসা পরীক্ষা। তাই, এই পরীক্ষা করানোর আগে একজন নিউরোলজিস্টের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরী।
ইএমজি এবং এনসিভি: একসাথে কাজ করে
প্রায়শই, ইএমজি এবং এনসিভি পরীক্ষা দুটি একসাথে করা হয়। ইএমজি পেশীর কার্যকলাপ মাপে এবং এনসিভি স্নায়ুর কার্যকলাপ মাপে। এই দুটি পরীক্ষার ফলাফল একসাথে বিশ্লেষণ করে চিকিৎসকরা স্নায়ু ও পেশীর সমস্যার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে পারেন।