শ্বাসকষ্ট অর্থাৎ শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
শ্বাসকষ্টের সাধারণ কারণ
- অ্যাস্থমা: এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যাতে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং শ্বাসকষ্ট হয়।
- COPD (Chronic Obstructive Pulmonary Disease): এটি ফুসফুসের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যাতে শ্বাসনালী এবং ফুসফুসের বাতাসের থলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- প্লুরাল এফিউশন: ফুসফুসের চারপাশে তরল জমে যাওয়া।
- নিউমোনিয়া: ফুসফুসের সংক্রমণ।
- হৃদরোগ: হৃদযন্ত্রের সমস্যাও শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
- অ্যালার্জি: ধুলো, পরাগ, খাবার ইত্যাদির প্রতি অ্যালার্জি শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
- অ্যান্সাইটি এবং প্যানিক অ্যাটাক: মানসিক চাপের কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
শ্বাসকষ্টের লক্ষণ
- শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
- বুকে চাপ অনুভব করা
- হাঁপানি
- কাশি
- বুকে ব্যথা
- দ্রুত শ্বাস
- ঘামা
- চোখ ঘোলা হয়ে যাওয়া
শ্বাসকষ্টের ব্যবস্থাপনা
শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা কারণের উপর নির্ভর করে। ডাক্তার রোগীর চিকিৎসা ইতিহাস, লক্ষণ এবং শারীরিক পরীক্ষার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করবেন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।
- অ্যাস্থমা: ইনহেলার, ওষুধ এবং অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলা।
- COPD: ওষুধ, অক্সিজেন থেরাপি, পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন।
- প্লুরাল এফিউশন: তরল নিষ্কাশন, ওষুধ।
- নিউমোনিয়া: অ্যান্টিবায়োটিক, অক্সিজেন থেরাপি।
- হৃদরোগ: হৃদরোগের চিকিৎসা।
- অ্যালার্জি: অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলা, অ্যান্টিহিস্টামিন।
- অ্যান্সাইটি এবং প্যানিক অ্যাটাক: কাউন্সেলিং, ওষুধ।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন
- যদি শ্বাসকষ্ট হঠাৎ করে শুরু হয় এবং তীব্র হয়।
- যদি শ্বাসকষ্টের সাথে বুকে ব্যথা, চেতনা হারানো বা শ্বাসকষ্টের কারণে দৈনন্দিন কাজ করতে সমস্যা হয়।
- যদি শ্বাসকষ্ট দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং অন্যান্য চিকিৎসা করেও ভালো না হয়।
শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ
- ধূমপান বন্ধ করা।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।
- নিয়মিত ব্যায়াম।
- হাত পরিষ্কার রাখা।
- অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলা।
- বার্ষিক ফ্লু শট নেওয়া।
মনে রাখবেন: শ্বাসকষ্ট একটি গুরুতর সমস্যা। যদি আপনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।